৭:২৮ পিএম, ১৫ এপ্রিল ২০২১, বৃহস্পতিবার |
| ৩ রমজান ১৪৪২
০৬ এপ্রিল ২০২১, ০৯:২৩
রাজধানীর বাজারে তেল, চিনি, চাল, ডাল, আটা-ময়দাসহ প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য বেশি
দামে বিক্রি হচ্ছে। আগামী ১৪ই এপ্রিল থেকে রমজান শুরু হচ্ছে। এই রমজান ও
সরকার ঘোষিত লকডাউন ঘিরে আরেক দফা বেড়েছে পণ্যের দাম। এ কারণে সাধারণ জনগণ
ন্যায্যমূল্যে টিসিবি’র (ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ) পণ্য কিনতে ভিড়
করছেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাদের। তবে মানা হচ্ছে না
স্বাস্থ্যবিধি।
সোমবার সকাল থেকে মতি?ঝিল শাপলা চত্বরের সামনে টিসিবি
ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু করে। সরজমিন দেখা গেছে, কেউই সামাজিক
দূরত্ব মেনে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন না। গায়ে গা লাগিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। তবে মাস্ক পরেছেন ক্রেতারা। কিন্তু
লাইনের পাশে থাকা অনেককেই মাস্ক খুলে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
পণ্য
কিনতে আসা আজগর বলেন, বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দাঁড়িয়ে আছি। এখন ১২টা ২০ মিনিট।
এখনো পণ্য কিনতে পারিনি। যে দীর্ঘ লাইন, আরো কিছুক্ষণ সময় লাগবে।
মানিকনগরের
বাসিন্দা আরেক ক্রেতা সোহেল বলেন, মতিঝিল এসেছি কাজে। এখানে দেখলাম
টিসিবি’র পণ্য বিক্রি হচ্ছে। লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনলাম। ঘণ্টাখানেক সময়
লেগেছে। দুই কেজি করে মশুর ডাল, ছোলা, চিনি ও দুই লিটার তেল কিনলাম ৫৩০
টাকা দিয়ে। তিনি বলেন, রান্নার জন্য তেল প্রতিদিনই লাগে। বাজারে এক লিটার
তেল কিনতে ১৪০ টাকা লাগে। এখান থেকে দুই লিটার কিনলাম ২০০ টাকা দিয়ে। তাই
কষ্ট ও সময় লাগলেও লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনলাম।
মতিঝিল শাপলা চত্বরের
সামনে টিসিবি’র পণ্য বিক্রেতা শাহিন জানান, সকাল সাড়ে ১০টায় বিক্রি শুরু
করেছি। ভালো বিক্রি হচ্ছে। মাস্ক ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যারা
মাস্ক পরবে না তাদের কাছে পণ্য বিক্রি করবো না। তিনি বলেন, বরাদ্দ যতটুকু
দেয়া হয় ততটুকুই নিয়ে আসি। এখন বাজারে তেল-চিনির দাম বেশি হওয়ায় টিসিবি’র
পণ্যের চাহিদা বেড়ে গেছে বলে জানান এই বিক্রেতা।
টিসিবি’র তথ্য
অনুযায়ী, ট্রাক থেকে একজন ক্রেতা ৫৫ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ চার কেজি চিনি,
৫৫ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ দুই কেজি মসুর ডাল, ১০০ টাকা দরে দুই থেকে পাঁচ
লিটার সয়াবিন তেল এবং কেজি ২০ টাকা দরে পিয়াজ কিনতে পারেন। এ ছাড়া ৫৫ টাকা
কেজি দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি ছোলা ও কেজি ৮০ টাকা দরে এক কেজি খেজুর কিনতে
পারেন একজন সাধারণ ক্রেতা।
বর্তমানে রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে
বোতলজাত সয়াবিন তেল কোম্পানি ভেদে বিক্রি হচ্ছে এক লিটার ১৩৫ টাকা থেকে ১৪০
টাকা এবং পাঁচ লিটার ৬২০ টাকা থেকে ৬৬০ টাকা দরে। খুচরায় প্রতি লিটার খোলা
সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৩২ থেকে ১৩৫ টাকা দরে। পামঅয়েল বিক্রি হচ্ছে ১১০
টাকা থেকে ১১৫ টাকা দরে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় টিসিবি’র প্রায়
১০০টি খোলা ট্রাকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করছে বলে জানালেন টিসিবি’র
এক কর্মকর্তা। তিনি জানান, আগামী সপ্তাহে আরো বেশি এলাকায় পণ্য বিক্রির
ব্যবস্থা করবেন তারা।