৪:২৪ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, রোববার |
| ১৭ রবিউস সানি ১৪৪১
০৮ আগস্ট ২০১৯, ০১:০১
বরগুনার সদর কলেজ গেটের সামনে প্রকাশ্যে দিবালোকে রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় আসামি স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন চেয়ে হাইকোর্টে করা আবেদনের ওপর শুনানি হ্ওয়ার কথা রয়েছে আজ। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে আদালতে মিন্নির জামিনের আবেদন শুনানির কথা রয়েছে। এর আগে বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ মঙ্গলবার জামিনের আবেদনটি শুনানির জন্য উঠলে ‘বিস্তারিত শুনানি’র কথা বলে এ দিন ঠিক করে দেন। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেডআই খান পান্না। আইনজীবী এম মাইনুল ইসলাম ও মাক্কিয়া ফাতেমা। মিন্নির জামিন আবেদনের বিষয়ে আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেন, ‘আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বেশ কিছু নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু আপিল বিভাগের সেই নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটিয়ে মিন্নিকে বরগুনা পুলিশ লাইনসে নিয়ে যাওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এরকম দৃষ্টান্ত কখনো দেখিনি। মিন্নি এ ঘটনার চাক্ষুস সাক্ষী। কিন্তু আমাদের কাছে মনে হয়েছে ঘটনার মূল আসামিদের আড়াল করতে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মিন্নিকে এ মামলার আসামি করা হয়েছে। চাক্ষুস সাক্ষীকে যদি আসামি করতে হয় তাহলে তো মামলাই থাকে না। ’ তিনি আরও বলেন, ‘ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৮ ধারা অনুযায়ী আসামি নারী, অপ্রাপ্ত বয়স্ক, বয়স্ক ও অসুস্থ হলে জামিন পেতে পারেন। মিন্নি একজন নারী এবং অসুস্থ। এ বিবেচনায় তার জামিন পাওয়ার অধিকার রয়েছে। ’ এর আগে গত ২১ জুলাই বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মিন্নির জামিনের আবেদন নামঞ্জুর হয়। এরপর ৩০ জুলাই বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতেও মিন্নির জামিনের আবেদনে সাড়া দেননি বিচারক। উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনের সড়কে বহু পথচারীর উপস্থিতিতে স্ত্রী আয়েশা আক্তার মিন্নির সামনে রিফাত শরীফকে (২২) রামদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে একদল যুবক। পরে ওইদিনই বিকেলে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রিফাত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ওই ঘটনার একটি ভিডিওতে হামলার সময় রিফাতকে বাঁচাতে মিন্নির প্রচেষ্টার একটি ভিডিও দেশব্যাপী আলোড়ন তৈরি করে। পরদিন ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন রিফাতের বাবা (মিন্নির শ্বশুর) আব্দুল হালিম দুলাল শরীফ। সেখানে এক নম্বর সাক্ষী করা হয় মিন্নিকে। এরই মধ্যে রিফাত হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে আলোচিত সাব্বির আহমেদ ওরফে নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। পরে গত ১৩ জুলাই বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে দুলাল শরীফ অভিযোগ করেন, মিন্নির সঙ্গে নয়ন বন্ডের বিয়ে হয়েছিল এবং তিনি নয়ন বন্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। ছেলের হত্যাকাণ্ডে মিন্নির সংশ্লিষ্টতারও অভিযোগ করেন দুলাল শরীফ।